Cinebangla Desk:একবিংশ শতকের শুরুর দিকে টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের কথা বলতে গেলে, যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন জিতেন্দ্র মদনানি অর্থাৎ আমাদের সকলের প্রিয় জিত। ১৯৮৭ সালে আজকের দিনেই কলকাতার এক সিন্ধি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন।
তিনি ছোটোবেলায় থেকেই স্বপ্ন দেখতেন অভিনেতা হবার, আর সেই স্বপ্নের প্রতি অবিচল ছিলেন বলেই আমরা পেয়েছি এরকম এক টলিউড কাঁপানো অভিনেতাকে। আমরা যারা ২০০০ এর শুরুর দিকে জন্মেছি, তাদের কাছে ছোটোবেলায় অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে জিত। আজও মনে পড়ে ‘দুই পৃথিবী’ সিনেমার সেই টাইটেল সংটা। ডীপ সবুজ কালারের একটা জ্যাকেট আর জোরে বাইক চালিয়ে সে আসছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে “দুই পৃথিবী কীসের চাহিদায় ঘর ছাড়া, দুই পৃথিবী কীসের চাহিদায় দিশেহারা…”।
যদিও তার কেরিয়ার শুরুটা এতটাও সহজ ছিলো না। তার সিনেমা জগতে যাত্রাটা শুরু ‘চান্দু’ নামের একটি সাউথের মুভি দিয়ে। এই সিনেমাটি থেকে সাফল্য না পেলেও এরপরই তার সামনে আসে এক অভিনব সুযোগ। 2002 সালে হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘সাথী’ ছবির মাধ্যমে তিনি টলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী, এবং ছিলেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। এই সিনেমাটি সেই সময় সুপার ডুপার হিট হয়েছিলো। বক্স অফিস থেকে এর আয় প্রায় দশ কোটি টাকা। এই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান, যা আজও মানুষের মুখে ঘোরে তা হলো “ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও এ গান আমার”।
এই সিনেমাটি রিলিজ হওয়ার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ‘জোশ’, ‘দিওয়ানা’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘বন্ধন’, ‘অসুর’, ‘মস্তান’ ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় ছবি জমা হয়েছে তার ঝুলিতে। তাঁর অভিনীত বস সিনেমার টাইটেল সংটি আজও যুব সমাজকে বেশ খানিকটা অনুপ্রাণিত করে। তিনি প্রকৃত অর্থেই ‘টলিউডের বস’ অর্থাৎ ‘the king of tollywood’। তিনি সব ঘরানার চরিত্রেই ভীষণ সাবলীল।
এই জিতের সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা হচ্ছে ‘অমিতাভ বচ্চন’, যাকে উদ্দেশ্য করে জিতের অভিনীত একটি সিনেমাও রয়েছে, যার নাম ‘বচ্চন’। জিতের যে শুধুমাত্র নায়ক নয় গায়কও বটে, তা প্রমাণ করেছে এই সিনিয়র তার গাওয়া “টাটকা পিয়া মারি রে” গানটি।
গায়ক, নায়কের বাইরে প্রোডিউসার হিসেবেও তিনি পিছিয়ে নেই। ‘বাচ্চা শ্বশুর’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘প্যান্থার’, ‘অসুর’ প্রভৃতি সিনেমায় তিনি একই সাথে অভিনয় ও প্রযোজনা করেছেন।
টলিউডে আরও অনেক অভিনেতা যাবে আসবে, কিন্তু জিতের জায়গাটা কেউ কখনোই নিতে পারবে না। সিনে বাংলার প্রতিটি সদস্যের পক্ষ থেকে জিতে স্যারকে জানাই ৪৩তম জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, আপনি এভাবেই আরও আরো এগিয়ে চলুন।